ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সর্বাধিক প্রাচীন পদাতিক রেজিমেন্ট।


(Photo collected from internet)

এর যাত্রা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙালিদের অংশগ্রহণ খুব সীমিত ছিল, তাই বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে একটি নিজস্ব ব্যাটালিয়ন গঠনের প্রয়োজন অনুভূত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় গঠিত হয় প্রথম ব্যাটালিয়ন, যার নামকরণ করা হয় ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
শুরুতে মাত্র একটি ব্যাটালিয়ন থাকলেও ধীরে ধীরে এর আকার বাড়তে থাকে।
১৯৫০-এর দশকে আরও কয়েকটি ব্যাটালিয়ন গঠিত হয় এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙালি সেনাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান হতে থাকে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিখর। স্বাধীনতার ঘোষণার পর রেজিমেন্টের অধিকাংশ বাঙালি সেনা পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন।
মুক্তিযুদ্ধে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন সীমান্ত ও অভ্যন্তরে অসংখ্য সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা ছিল এ রেজিমেন্টের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব।
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিস্তৃত ইতিহাস
১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সেনানিবাসে “ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট” গঠিত হয়।
প্রথমে এর নাম ছিল East Bengal Regiment Center, যেখানে বাঙালি সেনাদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ দেওয়া হতো।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙালিদের সংখ্যা নগণ্য ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ভয় পেত যে বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনাবাহিনী তাদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করবে। তাই শুরুতে কেবল একটি ব্যাটালিয়ন গঠনের অনুমতি দেয়।
১৯৫০–১৯৬০ দশকে ধীরে ধীরে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন গঠিত হয়।
এই সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ছিল একমাত্র বাঙালি পদাতিক রেজিমেন্ট।
তবুও নেতৃত্বের পদগুলোতে বেশিরভাগ ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসাররা; বাঙালি অফিসাররা সংখ্যায় ছিল খুবই কম।
মুক্তিযুদ্ধের সময় (১৯৭১)
২৫ মার্চ, ১৯৭১ পাকিস্তানি সেনারা “অপারেশন সার্চলাইট” চালালে ঢাকাসহ সারা দেশে বাঙালিদের ওপর গণহত্যা শুরু হয়।
তখন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন থেকে বাঙালি অফিসার ও সৈনিকেরা বিদ্রোহ করেন এবং মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনারা বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
উদাহরণস্বরূপ:
মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
মেজর খালেদ মোশাররফ পূর্বাঞ্চলে গেরিলা বাহিনী সংগঠিত করেন।
মেজর কে. এম. শফিউল্লাহ ঢাকা অঞ্চলে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।
(Photo collected from internet)
গ্রীন ডিফেন্স একাডেমি
তোমার লক্ষ, আমাদের দিকনির্দেশনা।

Contact: 01789495949 01979495949



 

Post a Comment

0 Comments