Photo Collected 

বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট:
নতুন প্রজন্মের পদাতিক বাহিনীর সাফল্যের গল্প.
বাংলাদেশের পদাতিক বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট (BIR)। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঐতিহাসিক ভূমিকার পর এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ পদাতিক রেজিমেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। মাত্র দুই দশকের মধ্যে রেজিমেন্টটি সেনাবাহিনীর অন্যতম আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে।
শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে গঠিত হলেও দ্রুতই এটি পূর্ণাঙ্গ রেজিমেন্টে রূপ নেয়। রাজশাহীর শাহবাজপুর ক্যান্টনমেন্টে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট সেন্টার (BIRC) বর্তমানে এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক সদর দফতর হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট ইতোমধ্যেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সুনাম কুড়িয়েছে। এর ব্যাটালিয়নসমূহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেছে, যার মধ্যে লিবারিয়ার BANBAT-12 (UNMIL) শান্তিরক্ষা মিশন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট, সীমান্ত ও নিরাপত্তাজনিত এলাকায়ও এই রেজিমেন্টের সদস্যরা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
রেজিমেন্টের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পদ হচ্ছে “Colonel of the Regiment”, যা সাধারণত সেনাপ্রধানকে অর্পণ করা হয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ছিলেন রেজিমেন্টের ষষ্ঠ কর্নেল অব দ্য রেজিমেন্ট।
বর্তমানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এ দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন আল মরশেদসহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রেজিমেন্টকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন।
তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও BIR দ্রুতই সেনাবাহিনীতে জায়গা করে নিয়েছে। রেজিমেন্টটিকে অনেক সময় “মিলেনিয়ামের রেজিমেন্ট” বলেও অভিহিত করা হয়। দক্ষতা, আধুনিক প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা অভিযানে সাফল্যের কারণে এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মর্যাদা বৃদ্ধি করছে।
গ্রীন ডিফেন্স একাডেমি
তোমার লক্ষ্য, আমাদের দিকনির্দেশনা। Contact: 01979495949 01789495949

 

Post a Comment

0 Comments